ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন মানুষজন। সোমবার রাতে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি সিলেট: সিলেটে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টা ৪৯ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। এতে নগরের বাসিন্দারা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে বাসাবাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন।
তবে সোমবার সাড়ে নয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিলেটের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৫ দশমিক ৫। এর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রুবায়াৎ কবীর। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট করে বললে ভারতের করিমগঞ্জ এলাকায় এর উৎপত্তি। ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব প্রায় ২২৮ কিলোমিটার।
সিলেট থেকে করিমগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৫৯ কিলোমিটার। ওই এলাকা সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিকটবর্তী। করিমগঞ্জে ভূকম্পন বেশি অনুভূত হয়েছে বলে মনে করছেন নগরের বাসিন্দারা। ভূকম্পন অনুভূত হওয়ায় সিলেট নগরের বহুতল ভবন, বাসাবাড়ি ও বিপণিবিতানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অনেকেই ভবন থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বেরিয়ে আসেন। ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকানপাট খোলা রেখেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিপণিবিতান থেকে নেমে যান।
সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার সবুজ বিপণিবিতানের ব্যবসায়ী লিয়াকত হোসেন বলেন, কাঁপুনি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভূমিকম্পের বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। এরপর এক দৌড়ে তিনি দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে নেমে পড়েন।
সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকার রাজা ম্যানশনের ব্যবসায়ী মৃণাল কান্তি বৈদ্য বলেন, তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানে বসে কাজ করছিলেন, এ সময় হঠাৎ ভূকম্পন অনুভূত হয়। তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি দোতলায় হওয়ায় তিনি কম্পন বেশি অনুভব করেন। এরপর তিনি দোকান খোলা রেখেই দৌড়ে বেরিয়ে পড়েন।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ভূমিকম্পে সিলেটে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। গত ১৬ জুন সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জে।