আদালত | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি নাটোর: নাটোরে এক গৃহবধূকে অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অপরাধে দুই যুবককে ২৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন। রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা ভুক্তভোগী নারীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে নাটোরের লালপুর উপজেলার আংগারিপাড়ার মো. রহমান (৩৫) ও একই গ্রামের মো. হাসমত (৩৬)। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, লালপুরের এক গৃহবধূ ২০০৭ সালের ১৬ নভেম্বর বেলা একটায় নিজ বাড়ির পাশের মাঠে ছাগল চরাতে যান। এ সময় আসামি মো. রহমান তাঁকে ধরে পাশের একটি আখখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ২ নম্বর আসামি মো. হাসমতও সেখানে গিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ওই নারীর চিৎকারে সাক্ষীরা এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় ওই নারী একই বছরের ৪ ডিসেম্বর নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পরবর্তীকালে আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক হন। সাক্ষী না আসায় দীর্ঘদিন মামলাটি বিচার নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকে। অবশেষে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করে বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম আসামিদের সাজা ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রায়ে প্রত্যেক আসামিকে অপহরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একটি অপরাধের সাজা শেষ হলে অপর অপরাধের সাজা ভোগ করতে হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। পলাতক আসামিরা যেদিন আদালতে হাজির হবেন বা তাঁদের যেদিন গ্রেপ্তার করা হবে, সেদিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আনিসুর রহমান বলেন, আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত থাকায় আদালত তাঁদের অনুপস্থিতিতে রায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা দিয়েছেন। আসামিরা গ্রেপ্তার হলে বা আত্মসমর্পণ করলে সাজা কার্যকর হবে।