নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দিতে তলব

হাইকোর্ট |  ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনায় ব্যাখ্যা দিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম নবীকে আগামী ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত শীর্ষক গণমাধ্যমে আসা এমন প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ ২৮ আগস্ট রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

পরে আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, ‘জয় বাংলা’ রাষ্ট্রীয় স্লোগান। এই স্লোগান দেওয়ার কারণে কাউকে বরখাস্ত করা বেআইনি। সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম নবীকে ১৮ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা সচিব, নাটোরের জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। ২২ আগস্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম নবীর সই করা এক চিঠিতে গুরুদাসপুর উপজেলার দড়িকাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে মাসুদুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে ওই শিক্ষকের জবাবের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হলে তিনি সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।