দান-খয়রাত ঠিক করতে বিএনপি নেতারা সিঙ্গাপুরে: মেয়র লিটন

জাতীয় শোক দিবসের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে বিএনপির চারজন নেতা সিঙ্গাপুরে, তাঁরা একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন—এটি মেনে নেওয়ার মতো না, এত বোকা বাংলাদেশের মানুষ নয়। তাঁরা সেখানে কোনো দেন-দরবার বা দান-খয়রাত যেটা পাবেন, সেগুলো ঠিকঠাক করতে গেছেন, কত দিলে কত পাওয়া যাবে, এসব বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে গেছেন।’

আজ সোমবার রাজশাহীতে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদের স্মরণে মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে বিএনপির নেতারা দলীয় নেতা-কর্মীদের বলে গেছেন যে ফিরে এসে সরকার পতনের লাগাতার আন্দোলন করবেন। লাগাতার আন্দোলন প্রায় আট-নয় বছর আগে দিয়েছেন খালেদা জিয়া, যা এখনোই আলোর মুখ দেখেনি। এমন লাগাতার আন্দোলন দিয়ে আর যা-ই হোক, আওয়ামী লীগকে ওপড়ানো সম্ভব নয়।’

সিটি মেয়র বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, আওয়ামী লীগকে ওপড়ানো তো দূরে কথা, একটি ডালও ভাঙা সম্ভব না। ১৯৭৫-পরবর্তী চরম দুঃসময়েও আওয়ামী লীগ টিকে থেকেছে। দীর্ঘদিন লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছে। এই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা কখনোই সম্ভব নয়।

স্মরণসভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব আলম মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

জাতীয় শ্রমিক লীগের রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ফ. ম. আ. ডা. জাহিদ, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল প্রমুখ।