পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সেহেলি সাবরীন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য এখনো কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক আবেদন করেনি।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান।

আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোন কোন বিদেশি পর্যবেক্ষক অনুমতি চেয়েছে, কারা কারা অনুমতি পেয়েছে এবং অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কী নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে—সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এখনো কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক অনুরোধ জানায়নি।

মুখপাত্র বলেন, গত ৯ থেকে ২৩ জুলাই  ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রাক্‌-মূল্যায়ন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। আগামী অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ ধরনের একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নির্বাচন কমিশনের জারিকৃত নির্বাচন পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।

সেহেলি সাবরীন বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সহায়তা সেল চালু করা হয়েছে। এ সেল বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সব ধরনের সহায়তা দেবে। একই সঙ্গে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে যাঁরা বাংলাদেশে আসতে চান, তাঁদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করবে এই সেল।

বিদেশি পর্যবেক্ষক অনুরোধ জানায়নি নাকি আবেদন করেনি, এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলি সাবরীন বলেন, এখন পর্যন্ত আবেদন করেনি।  

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপ নিয়ে হালনাগাদ তথ্য কী, কবে হতে পারে এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিবছর সেক্টরভিত্তিক বিভিন্ন সংলাপ আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উভয় দেশের রাজধানীতে পর্যায়ক্রমে প্রতিবছর নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০২২ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অষ্টম যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় সংলাপের নবম আসর এ বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

ইদানীং ঢাকা-ওয়াশিংটনে যেসব বৈঠক হচ্ছে সেগুলো নিয়মিত পর্যায়ের নাকি বিশেষ এমন প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র বলেন,  যেকোনো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বৈঠক বা আলোচনা একটি নিয়মিত বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একক রপ্তানি বাজার এবং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ। এ ছাড়া রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রেও তারা সবার সামনে। ফলে একটি গতিশীল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অংশ হিসেবে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্য নিয়মিত বিভিন্ন আলোচনা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক বৈঠক, সংলাপ কিংবা উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের সফর এই নিয়মিত প্রক্রিয়ারই একটি অংশ।