কক্সবাজার জেলার মানচিত্র |
প্রতিনিধি চকরিয়া: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে ফেরার পথে কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর হায়দারসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসি ছাড়া আহত ব্যক্তিরা হলেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য, উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম, অমর চন্দ্র বিশ্বাস, মফিজুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জসিম উদ্দিন, কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রদীপ কুমার দে, মো. সবুর মিয়া, রবি উল্লাহ, ইমরান হোসেন, রামকৃষ্ণ দাশ, তৌহিদুল ইসলাম, রিপন মিয়া, রিয়াজুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে এসআই শাহিনুল ইসলামের হাত ও অমর চন্দ্র বিশ্বাসের পায়ের আঘাত গুরুতর বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, আজ বেলা তিনটায় বারবাকিয়া বাজারে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় একদল পুলিশ বারবাকিয়া বাজারে দায়িত্ব পালন করছিলেন। জানাজা শেষে ফেরার পথে কয়েকজন ব্যক্তি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল ছোড়ে ও পুলিশের গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ওসি ওমর হায়দার। এ সময় ১৭০ থেকে ১৮০ জন মানুষ চার পাশ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পুলিশ সদস্যরা পিছু হটে বারবাকিয়া বাজার পার হয়ে আবদুল হামিদ সিকদারপাড়া সড়কে অবস্থান নেন এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য মুঠোফোনে বলেন, বারবাকিয়া বাজারে গায়েবানা জানাজা শেষে ফেরার পথে অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এতে ওসিসহ ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নূরুজ্জামান বলেন, গায়েবানা জানাজার নামাজের সময় পুলিশের সঙ্গে কোনো ধরনের হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। ফেরার পথে কারা পুলিশের ওপর হামলা করেছেন, তা তাঁরা জানেন না।