পাহাড়ে ড্রাগন চাষে সফল মিল্টন

রাঙামাটিতে ড্রাগন ফলের বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত মিল্টন চাকমা। সম্প্রতি তোলা ছবি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাঙামাটি: পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে ড্রাগন চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মিল্টন চাকমা। রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের মধ্যমপাড়া এলাকায় নিজের জমিতে ড্রাগন লাগিয়ে পরিণত হয়েছেন সফল চাষিতে। এখন তার ড্রাগন বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ।

২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে ফেরার পর ২০২২ সালে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন বলে জানালেন মিল্টন চাকমা। বলেন, ‘২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া ছিলাম। দেশে ফেরার পর ভাবছিলাম কী করা যায়। এর মধ্যে শুরু হলো করোনা। শেষ পর্যন্ত মহামারির প্রভাব কাটলে ইউটিউবে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে নিজের জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করি।’

নাটোর থেকে ড্রাগনের চারা সংগ্রহ করেন মিল্টন। দুই একর জমিতে রোপণ করেন প্রায় চার হাজার চারা। একেকটি চারা কিনতে খরচ হয়েছে ৪৩ টাকা। এখন একেক মৌসুমে তিনি প্রায় ৮০ হাজার টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করছেন।

মিল্টন চাকমা জানান, ড্রাগন ফলের পাশাপাশি তার বাগানে ২৫০টি মাল্টা ও ৫০০টি পেয়ারাগাছ আছে। তরুণ যারা কাজের সুযোগ খুঁজছেন, তাদেরও নিজের মতোই বিভিন্ন ফলের বাগান করার পরামর্শ দিলেন তিনি। বলেন, এতে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে।

রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘মিল্টন চাকমা ড্রাগন ফলের বাগান করার উদ্যোগ নিলে আমরা তাকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিয়েছি। এখন তিনি সফল চাষি। সাপছড়ি এলাকায় তার এই বাগান দেখে এলাকার অনেকেই ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন।’

রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিদেশফেরত মিল্টন চাকমা ড্রাগন ফলের চাষ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। কৃষি বিভাগ তাকে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। তার মতো অন্যরাও ফলফলাদি আবাদে আগ্রহ দেখালে কৃষি বিভাগ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।