পুলিশ

প্রতিনিধি বগুড়া: জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে এক তরুণীকে সহযোগিতা করতে গিয়েছিলেন শেরপুর থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মিঠন সরকার। সহযোগিতার নামে ওই তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। পরে ওই তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্ত করেন বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ।

তদন্তে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় গত ৯ আগস্ট বগুড়ার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এসআই মিঠন সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তবে এসআই মিঠন সরকার দাবি করেছেন, অভিযোগকারী তরুণীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি আপস মীমাংসা করা হয়েছে। তারপরেও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে অভিযোগকারী ওই নারীকে বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরাও মুখ খুলছেন না। তারা বলছেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে তারা কিছু বলতে নিষেধ করেছেন।

শেরপুর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই তরুণীর সাবেক স্বামীর সঙ্গে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। এ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এসআই মিঠন সরকার। সেখান থেকেই ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এসআই মিঠন সরকার। পরে গত ২২ জুলাই ওই তরুণী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের তদন্ত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, ‘এসআই মিঠন সরকার শেরপুর থানায় ৬-৭ মাস কর্মরত ছিলেন। গত ১ আগস্ট তাকে শেরপুর থানা থেকে আদমদিঘী থানায় বদলি করা হয়। মিঠন সরকারের নামে এক তরুণীর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানেন না।’

আদমদিঘী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘গত ৮ আগস্ট এসআই মিঠন সরকার আদমদীঘি থানায় যোগদান করেন। পরদিন ৯ আগস্ট সাময়িক বরখাস্তের আদেশ থানায় পৌঁছালে তাকে থানা থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।’

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এসআই মিঠন সরকারে বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।’