ঈশ্বরদীতে এক যুগ পর মন্দির কমিটি গঠন

এমপির নিজ বাড়ির বৈঠকখানায় উপস্থিত সদস্যরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: এক যুগ পর পাবনার ঈশ্বরদী মৌবাড়িয়া ও ঠাকুর বাড়ি বারোয়ারী মন্দিরের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে পাবনা-৪ আসনের সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপির আকবর মোড় নিজ বাড়ির বৈঠকখানায় ‘আহ্বায়ক কমিটি’ ঘোষণা করা হয়েছে। সংসদ সদস্যর পক্ষে এই কমিটির নাম ঘোষণা করেন, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মুরাদ আলী মালিথা।

১৩ সদস্যর কমিটিতে উদায় নাথ লাহেড়ী আহ্বায়ক ও সমর কুমার কর্মকারকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে। কমিটির যুগ্ন আহবায়ক হলেন, রাজেন্দ্রনাথ মেহেতা, স্বপন কুমার কুন্ডু ও সুনীল চক্রবর্তী। সদস্য হলেন, দিলিপ কুমার সরাফ, প্রবীর বিশ্বাস, মাধব কুমার পাল, উমা শংকর আগরওয়াল, বেল্টু কর্মকার, বাবু পান্ডে, দয়াল ষোষ ও দেব দুলাল রায়।

বৈঠকে নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, পৌর মেয়র ইসহাহ আলী মালিথাসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, সার্বজনীন কমিটি এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুটি মন্দির নিয়ে গঠিত ‘ঠাকুরবাড়ি-মৌবাড়িয়া বাড়োয়াড়ী মন্দির কমিটি’ গঠিত হয় প্রায় এক যুগ আগে। দুটি মন্দিরের সদস্যরা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবছর এই কমিটি নতুন করে গঠন করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই অবস্থায় চলতি বছরের ১৩ মে সন্ধ্যায় সাধারণ সভা আহবান করেন পূর্বতন কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার কুন্ডু।

সভা শুরুর কিছুক্ষণ পরই সাধারণ সদস্যরা পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব ও দাবি জানান। এ সময় স্বপন কুমার কুন্ডু পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিলে হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও মারমারির অবস্থা সৃষ্টি হলে নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি ও মেয়র ইছাহক আলী মালিথার হস্তক্ষেপে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সাধারণ সভা ও কমিটি গঠন প্রক্রিয়া ভন্ডুল হয়ে যায়।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার সাহা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে  পূর্বতন কমিটি স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ঠাকুরবাড়ি-মৌবাড়িয়া বাড়োয়াড়ী মন্দির কমিটি পরিচালনা করে আসছিলো। সাধারণ সদস্যদের দাবি আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরি হোক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইসহাক আলী মালিথা মুঠোফোনে জানান, সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।