জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন সাকিবুর রহমান শরীফ কনক | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি আটঘরিয়া: ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টায় সফল হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাকিবুর রহমান শরীফ কনক।
শুক্রবার বিকালে আটঘরিয়া মাজপাড়া ইউনিয়নের খিদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় নাগরিক সমাজের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলদেশকে বিনাশ করার জন্যই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এ দিনটি পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। ঘাতকরা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অস্বীকার করে, তাদের ষড়যন্ত্র ও জিঘাংসাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এ দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।'
তিনি আরও বলেন, ‘এই খিদিরপুরের এমন কোনো রাস্তাঘাট,স্কুল,মসজিদ মাদ্রাসা নেই যে সেখানে আমার বাবার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বাবার মৃত্যুর পর আমি তা সাধ্যমত অব্যাহত রেখেছি।’
মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল করিম আলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুর গফুর মিয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজুল হোসেন কাচু, আটঘরিয়া উপজেলার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম মওলা পান্নু, মাজপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম খাঁন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কনক শরীফ আমাদের করোনার সময় নিয়মিত অক্সিজেন ও খাদ্য বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। প্রতি শীতে কম্বল ও ঈদে ঈদ উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। কর্মসংস্থানের জন্য মহিলাদের সেলাই মেশিন ও পুরুষদের রিক্সা ভ্যান দিয়েছেন। আমরা আটঘরিয়াবাসী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কনক শরীফের মতো এমন জনবান্ধন নেতাকেই আওয়ামী লীগের এমপি দেখতে চাই।
এতে দুইজন আদিবাসী বীরাঙ্গনাসহ আদিবাসী সমাজ, বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অঙ্গ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন,সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।