লন্ডনে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, ১৯৮০ সালে রেহানার বাসার সামনে | ছবি: সংগৃহীত |
সরাফ আহমেদ: ১৫ আগস্ট ১৯৭৫, শুক্রবার। জার্মানির বনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ফোনে দুঃসংবাদ পেলেন, দেশে অভ্যুত্থান হয়েছে, বঙ্গবন্ধু আর নেই। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা তখনো অস্পষ্ট।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন ব্রাসেলসে, রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাড়িতে। এই খবর তাঁরা পাননি। পরদিন সকালেই সীমান্ত পেরিয়ে তাঁদের যেতে হবে জার্মানিতে, রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বাসায়।
এদিকে রটনা ছড়িয়ে পড়েছে, নিহত রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ১৬ আগস্ট জার্মানির দ্য ভেল্ট পত্রিকার দুই রিপোর্টার ক্লাউস কর্ন, উলরিশ লুকে এবং ফটোসাংবাদিক রিচার্ড সুলজে-ফরবের্গ হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বাসায় যান। বাসার নিচতলায় ড্রয়িংরুমে তাঁদের আধঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।
বাসার তৃতীয় তলায় তিনটি ঘর। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, ওয়াজেদ মিয়া, জয় ও পুতুলের সেখানে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। সাংবাদিকেরা শুনছেন, ওপরতলা থেকে কান্না ভেসে আসছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দ্য ভেল্ট পত্রিকা লিখেছে:
শোকে মুহ্যমান শেখ হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলেন। পরনে হলুদ পাড়ের সবুজ শাড়ি। ডান হাতে আঁচল ধরা। বাঁ হাতের সাদা রুমালে বারবার চোখ মুছছেন। পেছন পেছন নেমে এলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনিও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন। দুজনই ড্রয়িংরুমের খয়েরি সোফায় বসলেন। মুখে কথা নেই। নিচের দিকে তাকিয়ে অঝরে কাঁদছেন। কেঁপে কেঁপে উঠছেন কান্নার দমকে। দুই বোনের কান্নায় বড় ড্রয়িংরুমের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠল। এভাবেই তাঁরা তিন থেকে চার মিনিট সোফায় বসে রইলেন। রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী উঠে দাঁড়িয়ে তাঁদের সোফার কাছে গিয়ে হাসিনা ও রেহানার মাথায় হাত দিলেন। ওঁদের নিয়ে ধীরে ধীরে উঠে গেলেন সিঁড়ি বেয়ে ওপরে।
এটি ছিল ক্লাউস কর্ন ও উলরিশ লুকের যৌথ লেখা। ১৮ আগস্ট তিনটি ছবিসহ চার কলামে খবরটি প্রকাশিত হয়। শিরোনাম, ‘বনে শোকগ্রস্ত শেখ মুজিবের কন্যারা’।
আগের দিন, হত্যাকাণ্ডের পর
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খবর পান ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে সাতটায়, জার্মান লেখিকা ও সাংবাদিক গিজিলা বনের ফোন থেকে। জার্মানিতে তখন ভোররাত সাড়ে তিনটা। হতবিহ্বল রাষ্ট্রদূত দ্রুত ফোন করেন তাঁর দুই সহকর্মী প্রথম সচিব তারিক এ করিম এবং দ্বিতীয় সচিব ও প্রেস অ্যাটাশে আমজাদুল হককে। তাঁদের বলেন, দ্রুত তাঁর কোয়েনিগভিন্টারের বাসায় আসতে।
তারিক করিম রাষ্ট্রদূতের বাড়ি পৌঁছে দেখেন, আমজাদুল হক পৌঁছে গেছেন। রাষ্ট্রদূত চৌধুরী পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজে যতটা শুনেছেন, তা সহকর্মীদের জানান। এরপর বলেন, ‘আজ ব্রাসেলস থেকে শেখ হাসিনাদের প্যারিসে যাওয়ার কথা। আমার মনে হয়, নিরাপত্তার কারণে তাঁদের কোথাও যাওয়া সমীচীন নয়।’
তারপর বলেন, ‘ঝুঁকি থাকলেও আমি তাঁদের এখানেই আনার ব্যবস্থা করব।’ এরপর সবাই মিলে বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর মেয়েদের না জানিয়ে ওয়াজেদ মিয়াকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
রাষ্ট্রদূত চৌধুরী ব্রাসেলসে রাষ্ট্রদূত সানাউল হককে ফোন করেন। ঘটনা শুনে সানাউল হক উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনারা বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের এখানে পাঠিয়ে আমাকে বিপদে ফেললেন তো।’
রাষ্ট্রদূত চৌধুরী বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ঘটনা তো আর আমরা আগে জানতাম না। আপনি দয়া করে এখনই তাঁদের বনে রওনা হতে বলেন।’
রাষ্ট্রদূত চৌধুরী ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু ফোনটি ধরেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রদূত চৌধুরী তাঁকে জানান, তিনি ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন। ওয়াজেদ মিয়াকে তিনি অভ্যুত্থানের খবর জানিয়ে বলেন, তাঁরা যেন ফ্রান্সে না গিয়ে বনে ফিরে আসেন।
সবকিছু শুনে ওয়াজেদ মিয়া প্রশ্ন করেন, ‘আমার শাশুড়ির কী খবর?’ খবর শুনে ওয়াজেদ মিয়া ফোনের পাশে থাকা চেয়ারে বসে পড়লেন। ঘটনাটি পরে আমজাদুল হককে জানিয়েছিলেন ওয়াজেদ মিয়া নিজে।
ওয়াজেদ মিয়াকে বলা হয়, এখনই যেন এ ঘটনা শেখ হাসিনাদের না জানানো হয়। শুধু বলা হয়, দেশে অভ্যুত্থান হয়েছে। রেহানা ছোট মেয়ে। তাঁকে কিছুই না জানানো প্রয়োজন।
ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে ফোনালাপ শেষে রাষ্ট্রদূত চৌধুরী সানাউল হককে শেখ হাসিনাদের বনে পাঠানোর জন্য একটি গাড়ির ব্যবস্থা করতে বলেন। সানাউল হক বলেন, ‘দূতাবাসের পতাকাবাহী গাড়ি দিয়ে হাসিনাদের বনে পাঠানোর ব্যবস্থা করলে আমার তো আর চাকরি থাকবে না।’
কিছুক্ষণ পর সানাউল হক ফোন করে তাঁকে জানান, ব্রাসেলসের বাংলাদেশ দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর সাদাত তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে শেখ হাসিনাদের জার্মানি–বেলজিয়াম সীমান্ত আখেনে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। তিনি যেন বেলজিয়াম সীমান্ত থেকে তাঁদের বনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। (সূত্র: আমজাদুল হকের সঙ্গে কথোপকথন)
সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রদূত চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেন, তারিক করিমের হলুদ রঙের ভক্সওয়াগন প্যাসাট গাড়িটির পরিসর বেশি। সে গাড়িতে করে দূতাবাসের গাড়িচালক শাহজাহান তালুকদার শেখ হাসিনাদের আনতে আখেনে যাবেন। শাহজাহান দূতাবাসের চাকরি করেন। তাঁকে সেদিন ছুটি দেওয়া হলো।
বিদায় ব্রাসেলস
১৫ আগস্ট সকালে ব্রাসেলসে রাষ্ট্রদূত সানাউল হক ফোনে বাংলাদেশ দূতাবাসের গাড়িচালক তানু মিয়াকে দ্রুত তাঁর বাসায় আসতে বলেন। তানু মিয়া আধঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যান।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জয় ও পুতুলকে নিয়ে ওয়াজেদ মিয়া ছোট স্যুটকেস হাতে সানাউল হকের ভিলা থেকে নেমে আসেন। পেছন পেছন নামেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। সানাউল হকের স্ত্রী ও মেয়েরা বিদায় দিতে এসে ক্রন্দনরত হাসিনা ও রেহানাকে সান্ত্বনা দিতে থাকেন।
জয় ও পুতুলকে নিয়ে ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা গাড়ির পেছনের আসনে বসেন, সামনের আসনে শেখ রেহানা।
১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞ: প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন বইয়ের প্রচ্ছদ | ছবি: সংগৃহীত |
ব্রাসেলস থেকে জার্মানির সীমান্ত শহর প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার। সারা পথ শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বারবার রুমাল দিয়ে চোখ মুছছিলেন। ওয়াজেদ মিয়া থেকে থেকে সান্ত্বনা দিয়ে বলছিলেন, ‘আমরা যা শুনেছি, তা পুরোপুরি সত্য না–ও হতে পারে...’
দুপুর নাগাদ গাড়ি আখেনে পৌঁছায়। তানু মিয়া আর শাহজাহান তালুকদার তাঁদের মালপত্র বন থেকে আসা গাড়িতে তোলেন। ওয়াজেদ মিয়া তানু মিয়াকে বিদায় জানিয়ে তাঁর হাতে ২০টি জার্মান মার্ক দিয়ে বলেন, ‘চা খাবেন।’ তানু মিয়া বলেন, ‘আপনিই রেখে দিন। আপনাদের খারাপ সময়।’ শেখ হাসিনা জোর করে তানু মিয়ার হাতে টাকা গুঁজে দেন।
জার্মানিতে প্রবেশ
৯৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বেলা তিনটায় সবাই হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বাসায় পৌঁছান। সেখানে কামাল হোসেনকে দেখে অশ্রু–আকুল শেখ হাসিনা তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘চাচা, কী হয়ে গেল!’ এবার জয় আর পুতুলও কাঁদতে শুরু করে। এই মর্মস্পর্শী দৃশ্যে সবার চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে। রাষ্ট্রদূত চৌধুরীর স্ত্রী মেহজাবিন চৌধুরী এবং তারিক করিমের স্ত্রী নাগমা করিম দুই বোনকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান।
১৫ আগস্ট থেকেই রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী কোনো দেশে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়টি নিয়ে গোপনে তৎপর ছিলেন। সহকর্মীদের মতামতও শুনছিলেন। ১৬ আগস্ট তিনি বনে ভারতের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আতাউর রহমানের সঙ্গে তাঁদের ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রসঙ্গটি তোলেন। পরদিন তারিক করিম ভারতীয় দূতাবাসের প্রথম সচিব অরুণ পটবর্ধনের ফোন পান। পটবর্ধন জানান, শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি সরাসরি কথা বলবেন। তাঁদের মধ্যে সরাসরি কথা হয়।
রাতে রাষ্ট্রদূত চৌধুরী নিজে গাড়ি চালিয়ে ওয়াজেদ মিয়াকে নিয়ে একটি জায়গায় যান। ওয়াজেদ মিয়াকে গাড়িতে জানানো হয়, ওখানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা অপেক্ষা করছেন। অপেক্ষা করছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের কাউন্সেলর ও ডেপুটি চিফ সি ভি রাঙ্গনাথান। ওয়াজেদ মিয়াকে তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের বাসায় নিয়ে যান।
১৭ আগস্ট রাতে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ওয়াজেদ মিয়ার কাছে জানতে চান, তাঁদের টাকাপয়সা লাগবে কি না। ওয়াজেদ মিয়া জানান, হাসিনারা দুই বোন দেশ থেকে মাত্র ২৫ ডলার করে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। ওয়াজেদ মিয়া জানান, তাঁদের এক হাজার জার্মান মার্ক হলেই চলবে।
১৮ আগস্ট বাসায় মধ্যাহ্নভোজের সময় শেখ হাসিনাকে এক হাজার জার্মান মার্ক দিয়ে রাষ্ট্রদূত চৌধুরী জানান, দূতাবাসের একটি গাড়ি সেদিনই তাঁদের কার্লসরুয়েতে নিয়ে যাবে। জরুরি কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাড়িটি যেন তাঁরা রেখে দেন।
কার্লসরুয়েতে ওয়াজেদ মিয়ার পরিচিত দুই বাংলাদেশি গবেষক শহীদ হোসেন ও আমিরুল ইসলাম বাবলু তাঁদের সাহায্য করেন। শহীদ হোসেন কাছের সুপারমার্কেট থেকে বাজার এনে সবার জন্য রান্না করেন। সেই স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে সকালে উঠে পেঁয়াজ–মরিচ দিয়ে বাসি ভাত ভাজতেন। সেটাই ছিল সকালের নাশতা।’
শেখ হাসিনা ও ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশের খবর জানতে খুব ব্যাকুল হয়ে থাকতেন। ওয়াজেদ মিয়ার বাসায় একটা পুরোনো টেলিভিশন ছিল। ঝিরঝির করত। শহীদ হোসেন তাঁর কিছুটা ভালো একটি টেলিভিশন ওয়াজেদ মিয়ার অ্যাপার্টমেন্টে দিয়ে যান।
রাষ্ট্রদূত চৌধুরী ২২ আগস্ট ওয়াজেদ মিয়াকে ফোন করে জানতে চান, ভারতীয় দূতাবাসের কেউ যোগাযোগ করেছেন কি না। তখন পর্যন্ত কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
পরদিন সকালে ভারতের রাষ্ট্রদূত ওয়াজেদ মিয়াকে ফোন করে বলেন, অরুণ পটবর্ধন তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বেলা দুইটায় অরুণ পটবর্ধন এসে তাঁদের জানান, পরদিন সকাল নয়টায় এসে তিনি তাঁদের ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে নিয়ে যাবেন।
শুরু হলো বিদায়ের প্রস্তুতি। শেখ রেহানা শহীদ হোসেনকে একটি ছোট মিনোল্টা ক্যামেরা দিয়ে বলেন, ‘শহীদ ভাই, এটা রেখে দিন। ইউরোপ ভ্রমণের ছবি তুলব বলে এনেছিলাম। সে সুযোগ আর হলো না। এটা দিয়েই শেখ কামাল ও শেখ জামালের বিয়ের ছবি তুলেছিলাম। ছবির রিলটা এতে আছে। ভেবেছিলাম এখানে ওয়াশ করব। কখনো পারলে ওয়াশ করে দেবেন।’ রেহানার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি গড়াতে থাকল। (সূত্র: শহীদ হোসেনের সঙ্গে কথোপকথন)
এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্রাঙ্কফুর্ট–দিল্লি সরাসরি ফ্লাইট তখন সপ্তাহে একটি, প্রতি রোববার। শেখ হাসিনাদের যাওয়ার দিন ঠিক হলো ২৪ আগস্ট।
সেদিন সকালে নাশতা সেরে উঠেই তাঁরা দেখেন, গেস্টহাউসের সামনে দুটি ট্যাক্সি হাজির। শহীদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা কার্লসরুয়ে রেলস্টেশনে গেলেন। সেখান থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট রাইন মাইন বিমানবন্দর ১৩০ কিলোমিটার। দুই ঘণ্টার পথ।
বিমানবন্দরে তাঁরা বসলেন একটু দূরে, আড়ালে। প্লেনের ঘোষণা এল দুই ঘণ্টা পরে। ইমিগ্রেশন পার হয়ে তাঁরা বিমানে আসন নিলেন। একটু পরই অনিশ্চিত দিনের দিকে উড়ান শুরু হবে।
* প্রকাশিত বই: ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞ: প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন