আদালত | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে পৃথক তিন মাদক মামলায় নারীসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জয়পুরহাট স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত-৫ এর বিচারক আব্বাস উদ্দিন আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা-পণ্ডিতপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান মনোয়ার, পাঁচবিবি উপজেলার পুর্ব-রামচন্দ্রপুর গ্রামের ডেইজী বেগম ও জিয়ারুল ইসলাম ভুলু, উত্তর গোপালপুর গ্রামের রতন মণ্ডল ও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের রনি শেখ। তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা বাজার এলাকা থেকে ২০টি নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ (এ্যাম্পুল) মাদক কারবারি মতিয়ার রহমান মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা দিকে পাঁচবিবি উপজেলার নাকুরগাছী এলাকা থেকে ১০০টি নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ (এ্যাম্পুল) মাদক কারবারি ডেইজী বেগম এবং জিয়ারুল ইসলাম ভুলুকে গ্রেপ্তার করে পাঁচবিবি থানা-পুলিশ।
এদিকে ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর এলাকা থেকে ২০টি নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ (এ্যাম্পুল) মাদক কারবারি রনি শেখ ও রতন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই তিন মামলার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন আসামিদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মতিয়ার রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, ডেইজী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, জিয়ারুল ইসলাম ভুলুকে ৫ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। রনি শেখ ও রতন মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও এপিপি উদয় সিং। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন নাজমুল ইসলাম জনি ও রায়হান নবী।