বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা অবস্থান নেওয়ায় বাসভবনে ঢুকতে পারছেন না উপাচার্য। এ সময় অবস্থানরত ছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রক্টর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আবাসনসংকট নিরসনের লক্ষ্যে তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় ৯ ঘণ্টা অবস্থান শেষে হলে ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা। এরপর সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসভবনে ঢোকেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে হলে ফেরার আগে আধা ঘণ্টা ধরে অবস্থানরত ছাত্রীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী প্রক্টরের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
সোমবার বেলা একটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রীরা। এর পরপরই ছাত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল দুজন আবাসিক শিক্ষকের সঙ্গে হলে গিয়ে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর সন্ধ্যায় ছাত্রীরা কার্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তবে দাবি পূরণ না হওয়ায় তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যান।
রাত পৌনে আটটার দিকে গাড়িতে করে বাসভবনের সামনে আসেন উপাচার্য। এ সময় উপাচার্যের গাড়ি থেকে কয়েক গজ দূরে অবস্থান নেওয়া ছাত্রীরা ‘সিট চাই, সিট চাই, মৈত্রী হলে সিট চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এর একপর্যায়ে উপাচার্য গাড়ি নিয়ে তাঁর কার্যালয়ের দিকে যান।
পরে রাত ১০টার দিকে আবারও গাড়ি নিয়ে বাসভবনের সামনে আসেন উপাচার্য। তিনি গাড়ির জানালা দিয়ে আন্দোলনত দুই ছাত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। কিন্তু অবস্থানরত ছাত্রীরা চাইছিলেন, উপাচার্য সবার সামনেই আশ্বাস দেন। এ নিয়ে সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে ছাত্রীদের বাগ্বিতণ্ডা বাধে।
পরে উপাচার্য গাড়ি থেকে নেমে ছাত্রীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ছাত্রীদের দাবি অবশ্যই পূরণ করা হবে। পরে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ছাত্রীরা কর্মসূচি শেষ করে হলে ফেরেন।
ছাত্রীদের দাবিগুলো হলো বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তরের মাধ্যমে তাঁদের বৈধ আসন নিশ্চিত করা, পরবর্তী সময়ে হলের আসনসংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ এবং পড়াশোনার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য হলের মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ছয়জনের বেশি শিক্ষার্থীর আসন বরাদ্দ না দেওয়া।