বক্তব্য রাখছেন এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ:  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরশেন মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে দেশ স্বাধীন হয়নি।

তারা আজকে প্রেসক্রিপশন দেয় আমাদের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে না হলে তাদের আপত্তি রয়েছে। স্বচ্ছ নির্বাচনের মানে কী? বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে হবে। তাহলে নির্বাচন স্বচ্ছ হবে, না হলে হবে না। তাই তাদের প্রেসক্রিপশনে আমরা চলব না।

মঙ্গলবার বিকেলে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমেরিকারকে উদ্দেশ্য করে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, তারা ৭ম নৌবহর পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধীর কারণে রাশিয়া যদি তার নৌবহর না পাঠাতো তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পরিণতি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে পারতো। আমেরিকায় বিনা ওয়ারেন্টে মানুষকে হত্যা করা হয়। আর তারাই আমাদের র্যাব-পুলিশকে দায়ী করে বিনা বিচারের হত্যার জন্য।

খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সকল কলকাঠি নেড়েছেন। পেছনে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যারা জাতির পিতাকে হত্যার জন্য তাদের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতকে দিয়ে মেজর ডালিম ও রশিদকে ডেকে নিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিল।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের অপশাসনের প্রথম ধাপ ছিল, খুনিদের দায়মুক্তি দেওয়া অর্থাৎ জাতির পিতার হত্যার বিচার করা যাবে না। খুনিরা হত্যা করার পর পরই এ দেশ থেকে চলে যায়। জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দিয়ে পুর্নবাসিত করেছেন। তার আমলে সেনা ছাউনিতে কোনো অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় হাজার হাজার সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর জোয়ানসহ অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল।

বিএনপির উদ্দেশ্যে রাজশাহী সিটির মেয়র বলেন, আজ আমাদের ভয় দেখায়, তাদের প্রেসক্রিপশন না শুনলে নির্বাচন হতে দেবে না। তারা সেপ্টেম্বরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করতে চায়। আমরাও প্রস্তুত আছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে শোক ও স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, তানভীর শাকিল জয় এমপি, ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার।