যুবলীগ

প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ পিছিয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সম্মেলনের তারিখ পেছানো হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর। এর আগে ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর সম্মেলন দুটি হওয়ার কথা ছিল।

শনিবার রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবলীগকে এ–সংক্রান্ত পৃথক দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান। চিঠিতে বলা হয়, যুবলীগকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে রাজশাহী জেলা ও মহানগরের সম্মেলনের নতুন তারিখ দিয়েছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাজশাহী যুবলীগের দুটি শাখাকে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে।

রাজশাহী মহানগর যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, সবশেষ ২০১৬ সালের ৫ মার্চ মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে দ্বিতীয়বার রমজান আলীকে সভাপতি ও মোশাররফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। এর আগে ২০০৪ সালের ১৮ এপ্রিল মহানগর যুবলীগের সম্মেলনেও তাদের এ দুটি পদে রাখা হয়। এর ফলে প্রায় দুই যুগ ধরে রাজশাহী মহানগর যুবলীগ তাঁদের হাতেই আছে। প্রায় সাত বছর পর হতে যাওয়া যুবলীগের সম্মেলনে গত ফেব্রুয়ারিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৮টি জীবনবৃত্তান্ত জমা পড়ে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ১০টি, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮টি আবেদন আছে।

এদিকে জেলা যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলা যুবলীগেরও প্রায় একই সময় সম্মেলন হয়েছিল। সবশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ। সে সময় দ্বিতীয়বার আবু সালেহকে সভাপতি ও খালিদ ওয়াসিকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। খালিদ ওয়াসি মারা গেলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন আলী আজম। আবু সালেহ ২০০৪ সালে প্রথম জেলা যুবলীগের সভাপতি হন।

যুবলীগের রাজশাহীর পদপ্রত্যাশীরা জানিয়েছেন, এবার বর্তমান সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকেরা জীবনবৃত্তান্ত জমা দেননি। যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একই পদে সর্বোচ্চ দুবারের বেশি আসা যায় না।

রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সম্মেলন পেছানো হয়েছে। নতুন ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী তাঁরা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবার তিনি প্রার্থী হয়েছেন কি না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সর্বোচ্চ দুবার থাকা যায়। এবার নতুনেরা সংগঠনের দায়িত্বে আসবেন।