আদালতের রায় | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি বগুড়া:  বগুড়ায় ভুয়া পেনশনভোগীর নামে ১১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আত্মসাৎ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়ার স্পেশাল জজ অম্লান কুমার জিষ্ণু সোমবার এ রায় দেন। দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বর্তমানে বরখাস্ত) খলিলুর রহমান, সোনালী ব্যাংক দুপচাঁচিয়া শাখার সাবেক কর্মকর্তা (ক্যাশ) আবদুল বারী, আবদুস সালাম ও ইউনুছ আলী। এর মধ্যে ইউনুছ আলী ও আবদুল বারী বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক বগুড়ার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, চার আসামিকে পৃথক পৃথক ধারায় মোট ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আত্মসাৎ করা ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৩ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, দুপচাঁচিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ও ওই তিন ব্যাংক কর্মকর্তা যোগসাজশ করে উপজেলার পেনশনধারীদের টাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আত্মসাৎ করেন। সরকারি টাকা লোপাট করার অভিযোগ পেয়ে ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুদক বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর ওই কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার মামলার রায় দেন।