বেড়া মডেল থানা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি বেড়া: পাবনার বেড়া পৌর এলাকার সান্যালপাড়া গ্রামের মাদক মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৭০ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। তাকে ধরতে না পেরে একই নামের অন্য একজনকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠিয়েছেন বেড়া মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার। 

মূল আসামিকে ধরতে না পেরে তার পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ৩০ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

আনোয়ারের পরিবার ও আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৬ সালের মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, কিন্তু পরোয়ানা সঠিকভাবে যাচাই না করেই ১০ জুন পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া থানা এলাকার করমজা এলাকার ওহাব ব্যাপারির ছেলে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন এএসআই আনোয়ার। মামলায় কোনো সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও করমজা গ্রামের আনোয়ারকে ১১ জুন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় বেড়া থানা পুলিশ। নিরপরাধ আনোয়ার বিনা অপরাধে ছয় দিন জেলহাজতে কাটান।

আদালতে জিজ্ঞাসাবাদে করমজা গ্রামের আনোয়ার সাজাপ্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার নন বলে নিশ্চিত হন বিচারক সুরাইয়া সরকার। আদালতে জমা দেয়া নাগরিকত্বের সনদ, প্রত্যয়নপত্রসহ প্রয়োজনীয় নথি পর্যালোচনা করে আদালত আনোয়ারকে ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়।

বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বেড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেয় আদালত। নির্দেশ অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের জন্য বেড়া থানার এএসআই আরিফকে দায়িত্ব দিয়েছে বেড়া থানা পুলিশ।

করমজার আনোয়ার জানান, আদালতের নির্দেশে এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। তিনি যেন পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু না বলেন তার জন্য নানাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

তিনি আরও বলেন, এএসআই আনোয়ার নিজের ভুলে নিজে ফেঁসেছেন।

বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্লোল কুমার দত্ত বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আনোয়ার একসময় সান্যালপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত না হলেও তার নামে আলাদা একটি মামলা আছে। এ কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

‘আদালতের নির্দেশনায় বিষয়টির তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’