এবার গ্রীষ্মকালীন ছুটি পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। তবে শীতে ছুটি বাড়বে |ফাইল ছবি |
বিশেষ প্রতিবেদক: শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়গুলো এই ছুটির ঘোষণাও দিয়েছে। কিন্তু তার ঠিক এক দিন আগে ছুটি বাতিল করে ক্লাস চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। সেটি এখন আর হচ্ছে না। তবে বৃহস্পতিবার ছুটি থাকবে। এরপর সাপ্তাহিক দুদিন ছুটি শেষে রোববার থেকে যথারীতি ক্লাস হবে।
বৈঠকে শিক্ষকেরা জানান, ইতিমধ্যে ছুটি ঘোষণা হয়ে গেছে। পরে সাংবাদিকেরাও এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান। তখন ছুটি বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন এ বছর ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে হবে। তফসিল ঘোষণা হয়ে নির্বাচনী প্রচার ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই শুরু হবে। কাজেই আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা নভেম্বরের শেষের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে।’
এ কারণে এবার শিক্ষাবর্ষ শেষ করার জন্য সময় কম জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে এইবার গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করে শীতের ছুটি বাড়িয়ে দেব, যেটা ডিসেম্বরে হবে। আর গ্রীষ্মের ছুটিটা এখন আর থাকছে না। কাজেই এখন ক্লাস চলবে। নভেম্বরের শেষের মধ্যে যেন আমরা সব ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করতে পারি।’
শিক্ষা-সংক্রান্ত এ ধরনের সিদ্ধান্ত আগেভাগেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষক ও অভিভাবকদের অনেকে। তাঁদের যুক্তি, অনেকেই আগে থেকে ছুটি ঘিরে নানা ধরনের পরিকল্পনা করে থাকেন।
এমন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের ঘোষণা দিলেন, যখন মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষকদের ওই আন্দোলন বন্ধ করে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।