হামলায় আহত যুবলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম রবুকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর বালুঘাটের ব্যবসা নিয়ে ঈশ্বরদী ও নাটোরের লালপুর উপজেলার যুবলীগ সমর্থিত দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মানদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় ঈশ্বরদীর রবিউল ইসলাম রবু (৪০) নামে এক যুবলীগ কর্মী গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা তাকে অস্ত্রের মুখে ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর ঘাট থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে। আহত যুবলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের উত্তর বাঘইল গ্রামের কাশেম মন্ডলের ছেলে ও ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগ নেতা ইমতিয়াজ চৌধুরী মিলনের সহযোগী।

লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল মিঞা বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নৌপুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈশ্বরদীর সাঁড়াঘাট ও লালপুরের বালুঘাটের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগ নেতা ইমতিয়াজ চৌধুরী মিলনের সঙ্গে লালপুর এলাকার যুবলীগ কর্মী কাকনের দ্বন্দ্ব চলছিল।

আজ শুক্রবার দুপুরে সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মানদী ঘাটে যুবলীগ নেতা মিলনের সহযোগীরা ঘাটে বসে কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ লালপুরের দিক থেকে নদীপথে দুটি স্পিডবোটে ১৫-২০ জন যুবক অস্ত্রসহ ঈশ্বরদীর সাঁড়াঘাট নদীপাড়ে এসে মিলনের সহযোগীদের ওপর হামলা ও মারধর করে। একপর্যায়ে রবিউল ইসলামকে তারা ঘাট থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

টের পেয়ে মিলন চৌধুরীর লোকজন রবিউলকে উদ্ধারের জন্য নদীর চর এলাকায় গেলে প্রতিপক্ষরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। একই সঙ্গে খবর পেয়ে টহলরত নৌ-পুলিশের সদস্যরা লালপুরের সীমানাবর্তী নদীর চর এলাকা থেকে আহত অবস্থায় রবিউলকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ-পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) জামাল বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের সাত বর্গকিলোমিটারের মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও কিছু ব্যবসায়ী জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইতিপূর্বে কয়েকবার সংঘর্ষ, ধাওয়া-ধাওয়া ও গোলাগুলি হয়। আজ একইভাবে হামলাকারীরা স্পিড বোর্ড নিয়ে এসে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে যুবলীগ নেতা মিলন চৌধুরী ও কাকনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।