নিহত তাফসির আহম্মেদ মনা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের কর্মী তাফসির আহমেদ মনাকে (২৪) গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। এতে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, নিহত মনার মা নাহিদা আক্তার লিপি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এখন পর্যন্ত পুলিশের হাতে মামলার কেউ আটক বা গ্রেপ্তার নেই। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান বাসীরকে মামলার তদন্ত অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের শাহজাহান আলীর ছেলে অবুঝকে। তিনি ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া মামলায় পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শিমুল এবং পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাসের ছেলে রকির নাম রয়েছে। 

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকাবাসী অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে। তারা এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করার জন্য দাবি জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘পাকশীতে বর্তমানে খুব খারাপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা খুব শঙ্কার মধ্যে আছি। একই দলের মধ্যে এসব দলাদলি। নেতারাও কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না।’

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাটির ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে তাফসির আহমেদ মনাকে গত শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের এমপির মোড়ে তাঁর প্রতিপক্ষ গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার পর থেকে পাকশীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।