ঈশ্বরদী উপজেলা কমপ্লেক্স | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে। ঘটনাটি জানার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছেন ইউএনও সুবীর কুমার দাশ। 

সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এক মুঠোফোন নম্বর থেকে সোমবার বিকালের দিকে তার কাছে ফোন আসে। অন্য প্রান্ত থেকে ঈশ্বরদীর ইউএনও পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি পাবনা সার্কিট হাউজে মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন। জরুরিভাবে তার টাকা প্রয়োজন। বিকাশে টাকা পাঠাতে বলেন। বারবার টাকা পাঠানোর জন্য ফোন করলে তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি উপজেলার এক কৃষক লীগের নেতাকে জানালে তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে কণ্ঠস্বর শুনে তার সন্দেহ হয়। পরে ইউএনও’র সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি ভুয়া বলে তারা নিশ্চিত হন। 

এ বিষয়ে ‘উপজেলা প্রশাসন ঈশ্বরদী’- নামে নিজের ফেসবুক আইডিতে মঙ্গলবার একটি স্ট্যাটাস দেন ইউএনও সুবীর কুমার দাশ। 

ওই স্ট্যাটাসে তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কোনো কোনো ফোন নম্বর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করেছে একটি প্রতারক চক্র। এ বিষয়ে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ জানান। 

ইউএনও বলেন, 'কয়েকদিন ধরে লোকজন কার্যালয়ে যোগাযোগ করে নানা ধরনের মুঠোফোন নম্বর থেকে বিভিন্নজনের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি তাকে জানান। এছাড়া ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রক্রিয়া চলছে।' 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, 'ইউএনও স্যার থানায় জিডি বা অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'