ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস ও ব্যাংক কর্মকর্তা মোশতাক আহমেদ | ছবি: সংগৃহীত |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: ১ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস সুমনসহ পাবনার ঈশ্বরদী শাখা সাউথইস্ট ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার (বরখাস্ত) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার পাবনা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন ইমরুল কায়েস সুমন (৪২)। ঈশ্বরদী শহরের রহিমপুর গ্রামের মোহিত বিশ্বাসের ছেলে ও মেসার্স কায়েস এন্টারপ্রাইজের মালিক। তিনি পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদলের নেতা। মোশতাক আহমেদ (৪৭) রাজশাহীর তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ফারুক আহমেদের ছেলে। তিনি সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার সাবেক ইনচার্জ।
অন্য আসামিরা হলেন সাউথইস্ট ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখার সাবেক অপারেশন ম্যানেজার ও ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভালুকা গ্রামের আজিমুদ্দিন শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৩), ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার ও বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তরফ সরতাজ গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে শামীম আহমেদ (৩৫) ও ব্যাংকের ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার রাজশাহীর পবা উপজেলার কালুম গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ইমরান (৩০)। তবে, ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার ইমরানের বরখাস্তের আদেশ পরবর্তী সময় প্রত্যাহার করে তাঁকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল অভিযুক্তরা নগদ টাকা গ্রহণ না করে চার কিস্তিতে ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েসকে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার পে-অর্ডার দেন। পরবর্তীকালে ইমরুল কায়েস মাত্র ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর ভারতে চলে যান। এরপর ব্যাংক বিভিন্নভাবে আরও ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ৩২৮ টাকা আদায় করে। বিষয়টি আমলে নিয়ে দুদক তথ্য যাচাই শুরু করে।
অনুসন্ধানে পে-অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার প্রমাণ পায় দুদক। এ ছাড়া প্রাথমিক তদন্তে ইমরুল কায়েসের পে-অর্ডার ভাঙিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলে। পরে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
পাবনা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, মাঠপর্যায়ের অনুসন্ধান শেষে মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা চলছে। তবে পলাতক থাকার কারণে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এর আগে মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।