অবৈধভাবে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নদীর মাটি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি ভাঙ্গুরা, পাবনা: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদী রক্ষা প্রকল্পের পাশেই বড়াল নদীর মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন এক শ্রেণির অসাধু মাটি ব্যবসায়ী। কয়েকশ গজ দূরেই নদীর ভাঙ্গন রক্ষা প্রকল্পে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে বালির বস্তা ফেলে নদীর পাড় রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন।

উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের গজারমারা এলাকার বড়াল নদীর মাটি এস্কেভেটর (ভ্যেকু মেশিন) দিয়ে কেটে বিক্রয় করছেন প্রভাবশালী আলম নামের এক মাটি ব্যবসায়ী।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের গজার মারা এলাকার রয়েল ইটভাটার পাশেই বড়াল নদীর পাড় ও চরের মাটি এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। মাটিবাহী ট্রলির একাধিক চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৭-৮ দিন ধরে স্থানীয় ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করছেন মাটি ব্যবসায়ী আলম। দুরত্ব অনুয়ায়ী প্রতি গাড়ি মাটি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

কাকডাকা ভোর থেকে মাটি কাটা চলে সন্ধ্যা অবধি। অথচ কয়েকশ গজ দূরেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকার বালির বস্তা ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করছে। অদূরেই নদীর মাটি এভাবে দিনের পর দিন কেটে গোপনে বিক্রি করায় সরকারের ওই প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা যাচ্ছে জলে।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুম চলে যাওয়ার পর নদীর পানি শুকিয়ে গেলে এক শ্রেণির অসাধু মাটি ব্যবসায়ী মন্ডতোষ ইউনিয়নের মধ্যে প্রবাহিত বড়াল নদীর মেন্দা খালপাট,গজারমারাসহ বেশ কিছু এলাকার নদীর মাটি গোপনে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে।

মাটিবাহী ট্রলির চালক মফিজ উদ্দীন বলেন, ‘মাটি ব্যবসায়ী আলম মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করছেন। আমরা শুধু পৌঁছে দিচ্ছি।’

এ ব্যাপারে আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সামনাসামনি কথা বলে সমাধান করা হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান জানান, ‘বড়াল নদীর মাটি কেটে বিক্রয় করার বিষয়টি তার অজানা। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অবৈধভাবে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নদীর মাটি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন