স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩ উপলক্ষে স্মার্ট বগুড়া জেলা বিনির্মাণে কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালায় উপস্থিত অতিথিরা। মঙ্গলবার বগুড়ার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি বগুড়া: ‘স্মার্ট বগুড়া’ গড়তে  নগরীর প্রাণ হিসেবে পরিচিত করতোয়া নদীকে ঘিরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘স্মার্ট করতোয়া রিভার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে একটি প্রকল্প সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই  প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে করতোয়া নদী দখল ও দূষণমুক্ত হওয়া ছাড়াও এতে পানিপ্রবাহ ফেরানো সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার বগুড়ায় আয়োজিত ‘স্মার্ট বগুড়া’ বিনির্মাণে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে দিনব্যাপী পরামর্শমূলক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘স্মার্ট বগুড়া’ বিনির্মাণে জেলা প্রশাসন ওই পরামর্শমূলক কর্মশালার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। বগুড়া সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আয়োজিত ওই কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, উন্নয়নকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, করতোয়াকে বাদ দিয়ে ‘স্মার্ট বগুড়া’ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। স্মার্ট বগুড়া নিশ্চিত করতে হলে আগে শহরের যানজট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, করতোয়া নদী বগুড়ার প্রাণ। কিন্তু দখল-দূষণে করতোয়া নদীর প্রাণবৈচিত্র্য প্রায় নিঃশেষ। শহরের অংশে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার নদী প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীকেন্দ্রিক শহর ছিল একসময় বগুড়া। সভ্যতার বিবর্তনে করতোয় এখন ধুঁকছে। স্মার্ট বগুড়া গড়ার অংশ হিসেবেই ‘স্মার্ট করতোয়া রিভার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রকল্প বাস্তবায়ন দরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে করতোয়া তার যেমন হারানো যৌবন ফিরে পাবে, তেমনি স্মার্ট বগুড়া গড়াও সহজ হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, জেলা সিভিল সার্জন শাফিউল আজম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেন, স্মার্ট বগুড়া বিনির্মাণে করতোয়া নদীকে ঘিরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বগুড়া হবে পরিবেশবান্ধব  নান্দনিক ‘স্মার্ট শহর’।