ধুনটে এসএসসির প্রশ্নপত্র দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৪

বগুড়া জেলার মানচিত্র

প্রতিনিধি ধুনট: বগুড়ার ধুনটে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা হয়েছে। ওই মামলায় চার তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার রাতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে উপজেলার গোঁসাইবাড়ি ইউনিয়নের জোড়খালি গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। আজ সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন গোঁসাইবাড়ি ইউনিয়নের জোড়খালি গ্রামের যুবাইর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সালমান (২০), রাইমেন সরকারের ছেলে রাইসুল ইসলাম (২০), কাওছার আলীর ছেলে আহসান হাবিব (২০) ও রহুল আমিনের ছেলে আবদুল মমিন (২০)। এ ঘটনায় বগুড়া জেলা ডিবির এসআই সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে ওই চারজনের নামে আজ সকালে ধুনট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোঁসাইবাড়ি ইউনিয়নের জোড়খালি গ্রামের স্থানীয় একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার পাশে বসে মুঠোফোন ও ল্যাপটপের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে একটি চক্র চলতি এসএসসি পরীক্ষার সব প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করছে। খবর পেয়ে জেলা ডিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে প্রতারক চক্রের ওই চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও চারটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।

জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুকে জেএসসি ও এসএসসির সব প্রশ্ন নামের একটি পেজ খুলে আগের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ওপরের কাটা অংশের ছবি পোস্ট করেন। এ ছাড়া যারা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র নিতে চায়, তাদের উল্লেখিত পেজে ম্যাসেজ করে যোগাযোগ করতে দুটি বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়। প্রতারণা করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরা।

এ বিষয়ে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী তাঁর কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন। এ সময় তিনি বলেন, গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২২(২)/২৩(২) ধারায় মামলা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার চার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করবে ডিবি পুলিশ।