আদালত | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি লালপুর: নাটোরের লালপুরে শিশু ধর্ষণের মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মো. রান্টু (৫৩)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট সকালে উপজেলায় ১০ বছর বয়সী এক মেয়েশিশু নিজ ঘরে কাঁথা সেলাই করছিল। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় রান্টু ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটির মা বাইরে থেকে এসে ঘরে ঢুকে রান্টুকে ধরে ফেলেন। একপর্যায়ে রান্টু সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই দিনই শিশুটির মা বাদী হয়ে লালপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার তদন্ত করে থানার উপপরিদর্শক জামাত আলী একই বছর ১৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পাঁচ বছর পর ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর বাদী আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরের বছর সাক্ষ্য দেন ভুক্তভোগী শিশু ও এক প্রতিবেশী। ২০২২ সালের ৮ মে ভুক্তভোগী শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাকারী চিকিৎসক শামীমা সুলতানা আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
মামলার বিচারে বিলম্বের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আনিছুর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসক সাক্ষী দিতে বিলম্ব করায় মামলাটির বিচার নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হয়েছে। তবে যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পরদিনই আদালত রায় ঘোষণা করেছেন।