হিরো আলম | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি বগুড়া: আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ৯টি আইডি হ্যাকের দাবি করেছে ‘সাইবার গ্যাং আন্ডারগ্রাউন্ড ফোর্স’ নামের একটি হ্যাকার দল। গত তিন দিনে ওই দলের ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া একাধিক পোস্টে হিরো আলমের আইডি হ্যাকের বিষয়টি জানানো হয়। ওই দলের প্রধান হিসেবে পরিচয় দেওয়া ‘মিয়া আসকার’ এসব দাবি করেন।

হিরো আলমের অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা তাঁর সব আইডি হ্যাক করার হুমকি দিয়ে ‘মিয়া আসকার’ নামের ওই হ্যাকার গত ১৬ মার্চ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। যদিও দেশের বাইরে থাকা ওই হ্যাকারের সঙ্গে তাঁর পূর্বশত্রুতা নেই।

বুধবার সকালে হিরো আলম বলেন, ‘আমার মনে হয়, একশ্রেণির লোক আমাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য এটা করিয়েছেন। মিডিয়া ও রাজনৈতিক অঙ্গনের কিছু লোক এর পেছনে জড়িত আছেন। আমি যাতে কোনো ধরনের যোগাযোগ কারও সঙ্গে করতে না পারি।’ কারা তাঁরা, এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ‘ওই যে একশ্রেণির লোক, যাঁরা আমাকে দেখতে পারেন না।’

এ দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হিরো আলমের হ্যাক হওয়া একটি ফেসবুক আইডি ফেরত পেয়েছেন। কিন্তু ফেসবুক পেজ, টিকটক, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আরও আটটি আইডি ফেরত পাননি। এসব পেজ ও আইডিতে কয়েক লাখ অনুসারী রয়েছেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ  বলেন, ‘হিরো আলম লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ তাঁর ৯টি আইডি হ্যাক হয়েছে। আমাদের টিম কাজ করছে।’

গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।