জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ হাটে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা কলার কাঁদি। সম্প্রতি তোলা ছবি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে বিভিন্ন জাতের কলার গুণগত মান ভালো। তাই এ জেলার কলার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা কলা কিনতে দুর্গাদহ ও জামালগঞ্জ আসেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটর মাটি উর্বর হওয়ায় সব ধরনের ফসলের পাশাপাশি কলারও ভালো চাষ হয়। এখানকার চাষিরা সবরি, সাগর, চাঁপা, চিনিচাম্পা কলাসহ নানা জাতের কলার চাষ করেন। এবার জেলাজুড়ে ৬৫৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। কলার উৎপাদন ভালো হয়েছে। কলাচাষিরাও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। বছরজুড়েই কলা চাষ হয়।
জেলার সদর উপজেলার দুর্গাদহ ও জামালগঞ্জে কলার পাইকারি হাট রয়েছে। এই দুটি স্থানে প্রতিদিনই কলার পাইকারি হাট বসে। হাটে কলা কেনাবেচাও ভালো হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানের কলার পাইকারি মহাজনেরা এখানে কলা কিনতে আসেন।
সম্প্রতি ওই দুটি কলার হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিপুল পরিমাণ কলা আমদানি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা কলা কিনতে এসেছেন। কলা কিনে তাঁরা ট্রাকে তুলছেন। কলাচাষিরা জানান, চাহিদা থাকায় কলার দাম ভালো পাচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কলা সরবরাহ হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক কলা বাইরে সরবরাহ হয়। পাইকারি বাজারে জাতভেদে প্রতি কাঁদি (ঘাউর) বা সবরি কলা ২০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়।
রুকিন্দীপুরের কলাচাষি আজম আলী বলেন, ‘কলার উৎপাদন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পেয়েছি। তবে কলার দাম ওঠানামা করে।’
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কুজি শহর গ্রামের প্রভাষ চন্দ্র বলেন, কলা চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৩০০ গাছ পর্যন্ত রোপণ করা যায়। প্রতিবছর ২০০ থেকে আড়াই শ কাঁদি কলা পাওয়া যায়। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘায় বছরে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা লাভ হয়।
কলা ব্যবসায়ী ঢাকার কারওয়ান বাজারের মহিদুল ইসলাম ও টাঙ্গাইলের আজমল হোসেন বলেন, তাঁরা অনেক দিন ধরে দুর্গাদহ ও জামালগঞ্জ হাট থেকে পাইকারি কলা কেনেন। বর্তমান বাজারে চাহিদা থাকায় কলা ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন।