বরফে ছেয়ে গেছে হিমাচলের লাহুল-স্পিতি এলাকা | ছবি: এএনআই |
ডয়চে ভেলে: ভারতে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রকৃতি বিরূপ আচরণ করছে। এত দিন গরমে পুড়ে যাচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। এখন পুড়ছে দেশটির উত্তর ও দক্ষিণের বেশ কিছু রাজ্য। এপ্রিলের শেষেও কাশ্মীর, লাদাখ, উত্তরাখন্ড, হিমাচল ও সিমলায় সমানে তুষার পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে জমছে বরফের স্তূপ।
উত্তরাখন্ডে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে সেখানে তীর্থযাত্রীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু কেদারনাথেই নয়, গঙ্গোত্রী, যমুনেত্রী, বদ্রীনাথেও ব্যাপকভাবে তুষারপাত হচ্ছে।
এদিকে কাশ্মীরের উঁচু এলাকায় নতুন করে বরফ পড়েছে। রাজৌরি ও পুঞ্চের মধ্যে যোগাযোগকারী রাস্তা বরফে ঢেকে গেছে। এই রাস্তা থেকে বরফ সরানোর কাজ চলছে।
হিমাচলের লাহুল-স্পিতিতে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে চলে গেছে। মানালিতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেখানকার তাপমাত্রা ২ ডিগ্রিতে নেমেছে। রোটাং পাসের কাছে অটল টানেলে বরফ পড়ছে। এ টানেল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
সাধারণত ডিসেম্বরে যে ধরনের ঠান্ডা থাকে, এখন সে রকম পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। কেলংয়ের তাপমাত্রা ছিল শূন্যের থেকে ১ ডিগ্রি কম।
বরফ পড়ার ফলে কাশ্মীর, হিমাচল ও উত্তরাখন্ডের সব জায়গাতেই অনেক ঠান্ডা পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ প্রতিকূল আবহাওয়া যত দিন থাকবে, তত দিন উঁচু এলাকা যেন সবাই এড়িয়ে চলেন।
অসময়ে বরফ পড়ায় হিমাচলের আপেলচাষিরা রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সিমলায় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যের ১০টি জেলায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বা বরফ পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরেই বলছেন, পরিবেশদূষণের জন্য আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। এখনই দূষণের রাশ না টানলে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।