ঈশ্বরদীতে মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান

বক্তব্য দিচ্ছেন নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩২ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তন শেষ হয়েছে।

বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় এই কীর্তনের আয়োজন করে দাশুড়িয়া বারোয়ারি দেবক্রিয়া মন্দির কমিটি।

১৭ মে চার দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়। এতে শ্রীশ্রী গীতাপাঠ, মহানাম সংকীর্তন, শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন ও উষালগ্নে নগর কীর্তনের আয়োজন করা হয়।

রোববার নগর কীর্তন, শ্রীমান মহাপ্রভুর ভোগারতি ও অন্তে এবং মহাপ্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে  উৎসবের সমাপ্তি হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  পাবনা-৪ আসনের সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশ আমাদের সকলের।

তিনি আরও বলেন, আমার প্রত্যাশা, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।

কীর্তনে এসে ভক্তদের  সঙ্গে  শুভেচ্ছা বিনিময় করেন- ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন আহবায়ক মুরাদ আলী মালিথা ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস দারা।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্দির পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আশুতোষ কুমার পাল, সহসভাপতি গৌড় সেন, পলান কর্মকার, উত্তম সাহা, সাধারণ সম্পাদক মাধব কুন্ডু, যুগ্ম সম্পাদক গোপাল অধিকারী, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর সরকার, বিষ্ণু পাল প্রমুখ।

এই উৎসবে সাতক্ষীরার কৃষ্ণ বাসুদের সম্প্রদায়, বাগেরহাটের আনন্দময়ী সম্প্রদায়, নড়াইলের জীবনানন্দ সম্প্রদায়, রাধা গোবিন্দ সম্প্রদায়, যশোরের কৃষ্ণভক্তি সম্প্রদায়, খুলনার জয় গোবিন্দ সম্প্রদায়, দাশুড়িয়ার স্বাগতিক দল নিত্যানন্দ সম্প্রদায়, গাইবান্ধার সুবল কিশোর দাস, চাঁপাইনবাবগজ্ঞের শিখা রানী হালদার ও বগুড়ার ডাঃ সমর কৃষ্ণ দাস অংশগ্রহণ করেন।