আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. ফটিক | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি শেরপুর: গ্রামবাসীরা জানেন, তিনি বিদেশে চাকরি করেন। বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় গ্রামে তাঁর বাড়ি মেরামত করা হচ্ছে। পরে জানা গেল অন্য ঘটনা। ডাকাতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সাত বছর আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম মো. ফটিক (৪৫)। বাড়ি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের শিমলা সাতবাড়িয়া গ্রামে। ২০১৬ সালে সিরাজগঞ্জে একটি ডাকাতির মামলায় তাঁর সাত বছরের সাজা হয়। ওই সাজা থেকে বাঁচতে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।

পুলিশ জানায়, ২০০৫ সালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিলেন ফটিক। ২০১৬ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাঁকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে ফটিক পলাতক।

শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ফটিক সিরাজগঞ্জে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর বাড়ি শেরপুরে হওয়ায় শেরপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তাঁকে গ্রেপ্তারে থানা-পুলিশ তাঁর গ্রামের বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে, ফটিক বিদেশে চাকরি করেন। তাঁর পাঠানো টাকায় বাড়ি মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফটিককে আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আশুলিয়া থানা এলাকায় একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন তিনি। সাত বছরের সাজা থেকে বাঁচতে তিনি সাত বছর আত্মগোপনে ছিলেন।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, গ্রেপ্তার ফটিককে আদালতের মাধ্যমে আজ কারাগারে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।