ঈশ্বরদীতে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি

ভোররাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অন্ধকারে বসেই সেহরি করছে একটি পরিবার | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে লোডশেডিং বেড়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ঈশ্বরদীতে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৩৫ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ৩১ মেগাওয়াট।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীতে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন তাপমাত্রা বাড়ছে। গত শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার বিকেল তা বেড়ে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে মঙ্গলবার বিকেলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।

একদিকে তীব্র গরম অপরদিকে লোডশেডিং—দুই কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পবিত্র রমজানের মাস হওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। বিপণিবিতানে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের কষ্টও বেড়েছে। আবার লোডশেডিংয়ের কারণে বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানও বিপাকে পড়েছে। 

অভিজাত আবাসিক শেরশাহ রোড এলাকার বাসিন্দা আবদুল হামিদ বলেন, চার-পাঁচ দিন ধরে খুবই কষ্টে আছেন। প্রতিদিন ছয়-সাতবার বিদ্যুৎ চলে যায়। একবার গেলে আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা থাকে না। আজ ভোররাতেও বিদ্যুৎ ছিল না। প্রতিদিন এ যন্ত্রণা আর সহ্য হচ্ছে না।

একই ধরনের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন শহরের মশুড়িয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলম উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এর মধ্যে লোডশেডিং। দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির মোটর চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাড়তি যোগ হচ্ছে পানির ভোগান্তি।

লোডশেডিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও। ঈশ্বরদী বাজারের নান্না বিরিয়ানির কর্ণধার এইচ এম আলামিন হাওলাদার বলেন, যেকোনো রেস্তোরাঁর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার প্রথম শর্ত পানি। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসি (নেসকো) ঈশ্বরদী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূর বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।