ছাত্রদলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান । বগুড়ার শহীদ টিটু মিলনায়তনে  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি বগুড়া:  যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। বুলেট আসবে, লাঠি আসবে কিন্তু পিছু হটা যাবে না। সব দ্বন্দ্ব, বিভেদ এবং মান-অভিমান ভুলে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে, এই যুদ্ধে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।

বুধবার বগুড়ায় ছাত্রদলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত ইফতার মাহফিলের আগে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান এসব কথা বলেন।

বগুড়ার শহীদ টিটু মিলনায়তনে ওই সভায় দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে আমানউল্লাহ আমান বলেন, রাতের ভোটের সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এ জন্য চূড়ান্ত ডাক এলে সবাইকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর করতে দেওয়া হবে না।  

আমানউল্লাহ আমান অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসন আর একনায়কতন্ত্রে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই সরকার জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ড দিয়ে বন্দী করে রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। জিয়া পরিবারের প্রতিটি সদস্যের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমানকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

১৯৬৯–এর অভ্যুত্থানের এবং ১৯৯০ সালের গণ–আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘ছাত্ররাই এই অভ্যুত্থান ও আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করেছিল। আগামী দিনে ছাত্রদলকেও গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এ কে এম মাহবুবুর রহমান, হাবিবুর রহমান, হেলালুজ্জামান তালুকদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, রাকিবুল ইসলাম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, ওবাইদুর রহমান, সাইদ সোহরাব, ফজলুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বগুড়া জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।

ইফতার মাহফিলে ছাত্রদলের রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের ১৬ জেলা-উপজেলা, পৌরসভা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ শাখাসহ ছাত্রদলের ৩০০ সাংগঠনিক ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।