অপরাধ | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি নোয়াখালী: নোয়াখালীতে এক নারীর পেট থেকে ৩ হাজার ২৪০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার সীমা আকতার (২২) কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইটকং ইউনিয়নের সাতঘরিয়াপাড়া গ্রামের ফকির আহমদের মেয়ে এবং ইসমাইল হোসেন ওরফে প্রকাশ শাহ আলমের স্ত্রী।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে এক নারী নোয়াখালী সদরের বিনোদপুর এলাকার উদ্দেশে আসছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার বিকেলে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের মিয়ারপুলে অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। এ সময় বাঁধন পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সীমা আকতারকে আটক করা হয়। তাঁর কোলে একটি শিশুও ছিল।

প্রাথমিকভাবে সীমার ব্যাগ বা দেহে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, তাঁর পেটের ভেতরে ইয়াবা রয়েছে। সীমাকে মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে এক্স–রে করে নিশ্চিত হওয়া যায়, তাঁর পেটে ইয়াবা রয়েছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওষুধ সেবনের মাধ্যমে গতকাল রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ৭২টি প্যাকেটে থাকা ইয়াবা বের করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ৪৫টি করে মোট ৩ হাজার ২৪০টি ইয়াবা পাওয়া যায়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, ইয়াবার চালানটি বিনোদপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে হস্তান্তর করতে ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে নোয়াখালীতে আসেন। সীমা এবং বিনোদপুরের ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। বিনোদপুরে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।