ভারতে রোববার প্রায় ছয় হাজার ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে | ফাইল ছবি

বিবিসি: ভারতে আবার বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। রোববার দেশটিতে নতুন করে প্রায় ছয় হাজার ব্যক্তির করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলো কতটা প্রস্তুত, তা যাচাই করতে চালানো হচ্ছে মহড়া। সোম ও মঙ্গলবার এই মহড়া চলবে।

রোববার প্রায় ছয় হাজার ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হলেও ভারতে বর্তমানে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৫ হাজারের কাছাকাছি। বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারতে সংখ্যাটি তুলনামূলক কম বলা চলে। তবে ভাইরাসটির সংক্রমণ আরও বাড়তির দিকে যাওয়া রুখতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের এমন সতর্কবার্তার অবশ্য কারণ আছে। ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল ভারত। ভাইরাসটির সংক্রমণে সেবার মারাত্মক পরিস্থিত দেখা দিয়েছিল দেশটিতে। অনেক হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছিল। সংকটাপন্ন রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল তাদের। এতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল ভারত সরকার।

এবার রোগীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন করোনার অমিক্রন ধরনের এক্সবিবি.১.১৬ উপধরনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তারা এই উপধরন ও ভারতে উপধরনটির ছড়িয়ে পড়ার ওপর নজর রাখছে। আর অনেক বিশেষজ্ঞের অভিমত, উপধরনটি প্রাণঘাতী নয় বলে জানা গেছে।

এদিকে হাসপাতালে প্রস্তুতি নিয়ে চালানো মহড়ায় অংশ নিয়েছে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোও। এই মহড়ার তত্ত্বাবধান করছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া। কাজ করছেন বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরাও। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন শহরে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ তেমন দেখা যায়নি।

এর আগে ৭ এপ্রিল একটি অনলাইন বৈঠকে যেসব এলাকায় করোনা বেশি ছড়িয়েছে, সেসব এলাকা শনাক্ত করতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনা পরীক্ষা ও টিকাদান বাড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি। একই সঙ্গে মাস্ক পরাসহ জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।

এরই মধ্যে ভারতের অনেক রাজ্য জনসমাগম হয়, এমন স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। পাশাপাশি মানুষকে করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।