ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ফাঁকা, খুলে দেওয়া হলো দুটি আন্ডারপাস

ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। বগুড়ার অংশে চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আজ বুধবার আন্ডারপাস খুলে দেওয়ার পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বগুড়া প্রতিনিধি: ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়ার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল–সংলগ্ন চারমাথা এবং বারপুর আন্ডারপাস খুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ওই এলাকায় যানজট ছাড়াই চলাচল করছে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ অভিমুখী যানবাহনগুলো।

আজ বুধবার বারপুর আন্ডারপাসের উভয় পাশের চার লেনে এবং চারমাথা আন্ডারপাসে এক পাশে দুই লেনে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে ‘সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন’ বা সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২–এর অধীন বগুড়ার এই দুটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসড়কের চান্দাইকোনা থেকে চাপড়িগঞ্জ পর্যন্ত বগুড়ার ৬৫ কিলোমিটার অংশে ঈদযাত্রায় নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে চারমাথা ও বারপুরের আন্ডারপাস দুটি খুলে দেওয়া ছাড়াও বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কারণে এখন পর্যন্ত এই রুটে যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। এ ছাড়া বগুড়ার অংশে পেন্টাগন হোটেলের সামনে নির্মিত কালভার্ট ও শেরপুর উপজেলার ঘোগা ব্রিজ এলাকায় নবনির্মিত ডাইভারশনও খুলে দেওয়া হয়েছে।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ঈদের আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এতে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের কারণে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, এ জন্য শেরপুর শহরের অংশে রংপুরগামী লেনে সাময়িক সময়ের জন্য আরসিসি নির্মিত চার লেন চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া শাজাহানপুর উপজেলায় আড়িয়াবাজারে মহাসড়কের উভয় পাশে নির্মিত চার লেন সড়ক যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ফটকি ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়েছে; বনানীবাজার ও মাটিডালি এলাকায় যানবাহনে যাত্রী ওঠানামার জন্য মহাসড়কের পাশে ফুটপাত প্রশস্ত করা হয়েছে।

ঈদযাত্রায় ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মোজাম্মেল হক আজ বিকেলে বলেন, সকালের দিকে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়ক প্রায় ফাঁকা ছিল। কোথাও কোনো যানজটের পরিস্থিতি নেই। ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ পৌঁছাতে মাত্র আড়াই ঘণ্টা সময় লাগছে। বগুড়ার অংশও প্রায় ফাঁকা। ঘরমুখী মানুষ নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। তবে পোশাক কারখানা ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ একটু বাড়তে পারে। তবে যানজট এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে হাইওয়ে পুলিশ।

এসআর ট্রাভেলস বগুড়ার সাতমাথা কাউন্টারের সহকারী ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা-বগুড়া যাত্রাপথে দূরপাল্লার কোচে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। তবে এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে বগুড়ায় আসতে সময় লাগছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। এখন পর্যন্ত যাত্রাপথে কোনো দূরপাল্লার কোচ কোথাও যানজটে পড়েনি বলে জানান তিনি।