বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে নেতা–কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী | ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে নেতা–কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে আসার পর মিছিল বের করেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার কারাগার থেকে মুক্তি পান রিজভী।

রিজভীকে স্বাগত জানানোর জন্য বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে শতাধিক নেতা–কর্মী অপেক্ষা করছিলেন। রিজভী গাড়ি থেকে নামার পরপরই নেতা–কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে মিছিল নিয়ে সিটি হার্ট ভবনের সামনে থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন। এরপর তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় নিজের দপ্তরে যান।

নিজ কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সহদপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিংসহ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রিজভীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে রিজভীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক–বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাংবাদিক নেতা রাশেদুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব মো. আবদুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, ফজলে হুদা সোহেল, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের খন্দকার এনামুল হক এনাম, ওমর ফারুক মুন্না, রবিউল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহেদুল কবির জাহিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির মাহমুদুর রহমান সুমন, জেলা যুবদলের মশিউর রহমান রনি, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক নেতা জসিম সিকদার রানা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নাছির উদ্দিন নাছির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের ইমামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা–কর্মীরা।

এ সময় বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী অবিলম্বে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে এই মুহূর্তে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি কারামুক্তির জন্য খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রিজভী।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রিজভীসহ চার শতাধিক নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ কোথায় হবে, এ নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যেই ৭ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নয়াপল্টন। সংঘর্ষে মকবুল আহমেদ নামের একজন নিহত ও বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হন।

৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকেও পুলিশ আটক করে। এক মাসের বেশি সময় কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাস জামিনে মুক্তি পান। প্রায় পাঁচ মাস পর ৫০ মামলায় জামিনে মুক্তি পেলেন রুহুল কবির রিজভী।