কসবার কাইমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আনিসুল হক। শনিবার বিকেলে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগদানের আগে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনা হবে।’ এ সময় আগামী নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আইনে চলে। আইন অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আদালত তাঁকে দণ্ড দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার কোনো সুযোগ নেই। এতে আদালত অবমাননা হবে। আমি যতটুকু জানি, তাঁর সামান্য জ্বর হয়েছে। দুদিন হাসপাতালে থাকবেন তারপর বাসায় চলে যাবেন।’
আগামী নির্বাচনের আগে সংলাপসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন আলোচনার প্রয়োজন নেই। সাংবিধানিকভাবে যথাসময়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
কসবার কাইমপুর ইউনিয়নে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আনিসুল হক। জনসভায় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মিসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় নির্বাচন হবে। কোনো নির্দলীয় সরকার, কোনো কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকার থাকবে না। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশা আল্লাহ।
মন্ত্রী আরও বলেন, একসময় নির্বাচনের আগে তিন মাসের জন্য কেয়ারটেকার সরকার হতো। ওই সরকারের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, এটা বেআইনি। পরে আপিল বিভাগও কেয়ারটেকারকে অবৈধ বলে রায় দেন। সংসদে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ’৭২-এর সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন ও বাংলাদেশ চলবে সিদ্ধান্ত হয়। এখন সেই মোতাবেকই বাংলাদেশ চলছে। আগামী নির্বাচন সেই মোতাবেক হবে।