নিহত যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। শুক্রবার সকালে আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের জুমাইখিরি গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি আটঘরিয়া: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় নিজ বাড়ির উঠানে পড়ে ছিল যুবকের গলাকাটা লাশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের জুমাইখিরি গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনেরা বলছেন, দুর্বৃত্তরা তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেছে।

নিহত যুবকের নাম আলহাজ আলী (৩৬)। তিনি উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের জুমাইখিরি গ্রামের মৃত নাগর প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষক ছিলেন।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলহাজ আলী স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই ছিলেন। আজ সকাল সাতটার দিকে আলহাজ আলীর বোন মিনা খাতুন রেফ্রিজারেটরে রাখা মাছ নিতে ভাইয়ের বাড়িতে আসেন। বাড়িতে ঢুকেই তিনি উঠানে আলহাজ আলীর গলাকাটা লাশ দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

নিহতের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তাঁর ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেশী কেউ কাজটি করেছেন বলে তিনি মনে করছেন। তিনি এই হত্যার বিচার চান।

এ ঘটনায় নিহত আলহাজের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন (২৮) ও প্রতিবেশী ইসমাইল হোসেনকে (২৩) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরেই আলহাজ আলীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ও এক প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।