মেহেদী হাসান, রবি সংবাদদাতা: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন এবং পঞ্চম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ উপলক্ষে রবীন্দ্র কাছাড়ি বাড়ি প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি মিলনায়তনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রথমদিনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বরেণ্য ক্রিকেটার এবং সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা অরিয়েন্টেশন স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাসভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রদর্শিত হয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক তথ্যচিত্র। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। এই স্বপ্নটিকে বাস্তবায়ন করেছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। অর্থাৎ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নামটি যেমন সম্পর্কিত, একইভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় মানেই সেটি হবে বিশ্বমানবের'।
ক্রিকেটার ও সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সশরীরের উপস্থিত হতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবীনদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি পড়াশুনার পাশাপাশি নবীনদের ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেন।
আলোচনা শেষে নবীনদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্ আজম। এরপর বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথমদিনের সমাপ্তি ঘটে। ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিনে দিনব্যাপী আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।