বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: বৃষ্টি নেই। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাই মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এ নামাজের আয়োজন করা হয়।
মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈশ্বরদীর জীনজীবন। কাঠফাটা রোদে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শুধু তাই নয় আশঙ্কাজনকভাবে নেমে গেছে পানির স্তর। ফলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করেছেন মুসল্লিরা।
ঈশ্বরদী ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নীচে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে কান্নাকাটি করেন এবং আল্লাহর দরবারে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শৈলপাড়া ইসহাকীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান।
খোলা আকাশের নিচে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে এই বিশেষ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নামাজ শেষে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ওলিউল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সকলে একত্রিত হয়ে এই নামাজ আদায় করেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ফ্যানের নিচ থেকে সরা যাচ্ছে না। গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। মহান আল্লাহর দরবারে আমরা প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। মহান আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
এরআগে ঈদগাহ ময়দানে নামাজ শুরুর আগে থেকেই কোরআন তেলোয়াত শুরু হয়। স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী কোরআন তেলোয়াত করেন।
বৃষ্টির জন্য সম্মিলিতভাবে আজান, একামত ছাড়া জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। এটাকে বলা হয় ‘সালাতুল ইসতিসকার’। ইমাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন।
নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে দোয়া করা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |