জঙ্গিবাদে অর্থায়নে বিদেশ থেকে টাকা আসার ঘটনা তদন্তের ক্ষমতা চায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট

রাজশাহীতে একটি কর্মশালায় অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিন। বৃহস্পতিবার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী: জঙ্গিবাদে অর্থায়নের জন্য বিদেশ থেকে টাকা আসার ঘটনাগুলো তদন্তের ক্ষমতা চায় পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীতে একটি কর্মশালায় অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এটিইউ প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এস এম রুহুল আমিন এ কথা বলেন।

‘জঙ্গিবাদ দমনে বিট ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ভূমিকা ও কৌশল’ শীর্ষক ওই কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি)।

জঙ্গিবাদের অর্থায়নে ইউরোপ থেকে টাকা আসছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিন বলেন, দেশের ভেতরে-বাইরে দুই জায়গা থেকেই অর্থ আসছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকেও আসছে। দেশের ভেতরে সংখ্যায় কম। এমনকি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও জঙ্গিবাদে অর্থায়নের জন্য টাকা আসছে। এগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে এটিইউ প্রধান আরও বলেন, টাকা আসার বিষয়টি নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মানি লন্ডারিং ইউনিট কাজ করে। বিদ্যমান আইনে এ ধরনের অভিযোগ শুধু সিআইডি তদন্ত করতে পারে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কাজ করা এটিইউ ও সিটিটিসি ওই আইনের সংশোধন চায়। জঙ্গিবাদে অর্থায়নের জন্য বিদেশ থেকে টাকা আসার ঘটনাগুলো তদন্তের ক্ষমতা চায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট।

এর আগে এক প্রশ্নের জবাবে এস এম রুহুল আমিন বলেন, ‘জঙ্গিবাদ নিয়ে কখনো তৃপ্তির ঢেকুর তোলার সুযোগ নেই। জঙ্গিরা সব সময় চাইবে আমাদের আউট স্মার্ট করার জন্য। আমাদেরও চেষ্টা থাকবে যে তারা যেন আমাদের আউট স্মার্ট করতে না পারে। আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।’

অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আরও বলেন, ‘আমরা জানি, জঙ্গিরা সেই অর্থে এখন বাংলাদেশে সংগঠিত আকারে নেই। তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তারা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধকরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বড় পরিসরে যারা করছে, তাদের আমরা অ্যারেস্টও করি। কিন্তু সবাইকে করতে গেলে সংখ্যা অনেক বড় হয়ে যাবে। সেটা হয়তো ঠিকও হবে না। বাকিদের আমরা ডির‍্যাডিক্যালাইজেশন–প্রক্রিয়ার আওতায় এনে কাজ করার চেষ্টা করছি। জঙ্গিরা সব সময়ই ভোলাটাইল সিচুয়েশনের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। নির্বাচনের আগে যেহেতু এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে, এ সময় তারা এ সুযোগ নিতে পারে। এটা ধরে নিয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো কাজ করছে।’

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন ও মহানগর পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।