ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সদ্য প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সবসময় চেষ্টা করেছেন দেশের ভালোর জন্য কিছু করার। চেষ্টা করেছেন নিজেকে উজার করে দেয়ার। মরণোত্তর দেহদানের মাধ্যমে নিজের শরীরকেও তিনি মানুষের কল্যাণেই বিলিয়ে দিয়ে গেছেন।

আগেই থেকেই ভুগতে থাকা কিডনি জটিলতার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্রে সোমবারই লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল ডা. জাফরুল্লাহকে। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায় সেখানেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আল মারকাজুলে নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহর মরদেহ গোসল করানো হচ্ছে। এরপর মরদেহটি বারডেম হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হবে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছিলেন বলে জানান তার পরিবারের সদস্য সামিয়া। দৈনিক বাংলাকে বলেন, তিনি পরিবারের সম্মতি নিয়েই রেখেছিলেন। সে অনুযায়ীই সবকিছু হবে। আজ রাতে (মঙ্গলবার দিবাগত রাত) মরদেহ বারডেমের মরচুরিয়াতে রাখা হবে। বুধবার সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পেশায় চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছেন, অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করে গেছেন। জাতীয় ওষুধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।

সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য সেই ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।