পাবনার আটঘরিয়ায় শনিবার আদিবাসী পল্লিতে মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

আটঘরিয়া প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়ায় আদিবাসী পল্লিতে মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর ও স্থানীয়দের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খিদিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।

এ নিয়ে ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এখানাকার হিন্দু ও মুসলিম পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর পরই এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে এখন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। কে বা কারা মূর্তি ভাঙচুর করেছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,  শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খিদিরপুর বাজারে আদিবাসী পল্লীর কয়েকজনের সঙ্গে স্থানীয় আমিরুল ইসলামের কথা-কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। 

খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

আদিবাসী পল্লির লোকজনের অভিযোগ, আমিরুল বেশ কয়েক জনকে নিয়ে পল্লীতে ঢুকে বাড়িঘরে ইটপাকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পল্লির বারোয়ারী মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর এবং কয়েক জনকে মারধর করেন। 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমিরুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রামের সবাই আছে। তারা জানে ও দেখেছে। নিজেরাই মূর্তি ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’