ঈশ্বরদীতে হাজেরা খাতুন হত্যাকারীদের বিচার দাবি

কলেজশিক্ষকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেন পাকশী নাগরিক সমাজ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রয়াত কলেজশিক্ষকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও পথসভা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে উপজেলার পাকশীর ইপিজেড গেট-সংলগ্ন সড়কে সর্বস্তরে মানুষের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভা থেকে বক্তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাজেরা খাতুনের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের সময়সীমা বেঁধে দেন।

মুক্তিযুদ্ধের কোম্পানি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা কাজী শহিদুল হক সুধার সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম রাজার সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার।

আরও বক্তব্য দেন নিহত হাজেরা খাতুনের ভাই পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হব্বুল, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, রেলওয়ে ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা ইমরুল কায়েস পারভেজ, পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ জামান পিন্টু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি ইকবাল হায়দার প্রমুখ।

হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে এক বৃদ্ধা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

এসময় বক্তারা বলেন, ‘মানুষ কতটা অমানুষ হলে সদালাপী ও শান্ত মানুষকে নৃশংস ভাবে হত্যা করতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি রাখছি, সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার জন্য। আমরা সবাই এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হব।’

বক্তারা বলেন, পাকশীতে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও ভীতি বিরাজ করছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন মোহাম্মাদ রশিদুল্লাহ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

গত ৩ এপ্রিল পাকশীর বাঘইলে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাজেরা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হাজেরা খাতুনের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

হাজেরা খাতুন উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গোলাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহর স্ত্রী। এ ছাড়া তিনি পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল ইসলামের বোন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের রহস্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। আশা করছি, শিগগিরই ঘাতককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হবে।’

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন হাবিবুল ইসলাম হব্বুল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সিরাজুল ইসলাম সরদার | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন আবুল কালাম আজাদ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সাইফুজ্জামান পিন্টু | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন মোস্তাক আহমেদ কিরণ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সর্বস্তরে মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন