সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেল | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ: অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন ৯ ইউপি সদস্য। গত সোমবার ওই ৯ জন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অনাস্থা অভিযোগ দিয়েছেন।

অনাস্থা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেল চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই মাসিক সভাসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সভা না করেই সভার ভুয়া রেজুলেশন প্রদর্শন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে কাজ না করেই কাগজে-কলমে উন্নয়নকাজ দেখিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ কোনো কাজ না করেই একই কায়দায় তিনি আত্মসাৎ করে আসছেন।

শুধু তাই নয়, বিধি-বহির্ভূতভাবে একই বছর একই স্থান দেখিয়ে এলজি, এসপি ও হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (কর্মসৃজন) প্রকল্প দিয়ে, কাজ না করেই বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। নাগরিকত্ব, ওয়ারিশ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দিতেও অবৈধভাবে নগদ অর্থ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ৯ ইউপি সদস্য।

ইউপি সদস্য সৈয়দ আলী বলেন, ‘রাসেল চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছেন। নানা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে আমরা ছয়জন পুরুষ ও তিনজন মহিলা সদস্য সম্মিলিতভাবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছি।’

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৃপ্তি কণা মণ্ডল লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর করা অনাস্থা প্রস্তাবটি হাতে পেয়েছি। সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে এ ব্যাপারে ধুবিল ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি জানা নেই। যেহেতু জেলা প্রশাসক বা ইউএনও অফিস থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে কিছু বলা হয়নি।’