রাজধানীর বাড্ডা উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ নেই। তবে গুজব রটাতে পারে। কিন্তু সেই গুজব রটিয়ে ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি হবে। এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর দিন আজ রোববার সকালে রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুলের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করলেন। তিনি বলেন, ‘গতবার যে কয়েকটি জায়গায় এ রকম ভুল হয়েছে, তাদের সেই ভুলের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। অতএব আশা করি, এই ভুল যেন না হয়। এ ব্যাপারে পরীক্ষার কেন্দ্রে যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, তাঁরা খুবই সতর্ক থাকবেন।’
উল্লেখ্য, পাবলিক পরীক্ষায় প্রায়ই প্রশ্নপত্র বিতরণে কোনো কোনো পরীক্ষাকেন্দ্রে ভুলভ্রান্তির ঘটনা ঘটে। এমনকি কোনো কোনো পরীক্ষায় এই ভুলের কারণে পরীক্ষা স্থগিত করে নতুন তারিখে নেওয়ার উদাহরণও আছে।
আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা স্বাভাবিক সময়ের কাছাকাছি নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী আগস্টের মাঝামাঝি হবে। তবে এখনো তারিখ ঠিক হয়নি।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ শুরুর আগে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে এবং এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলের শুরুতে। কিন্তু করোনার সংক্রমণের সময়ে পুরো শিক্ষাপঞ্জিই এলোমেলো হয়ে যায়।
আগামী বছরও পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হবে কি না, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আগামী বছর যারা পরীক্ষা দেবে, তারা পুরো প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কি না এবং আগামী বছর যেহেতু পরীক্ষা শুরুর সময় আরেকটু এগিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে, সে ক্ষেত্রে প্রস্তুতির বিষয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকেও ফলাবর্তন (ফিডব্যাক) পেতে হবে। সেই ফলাবর্তন পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রীর কেন্দ্র পরিদর্শনের সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।