আয়ারল্যান্ডের ৪ উইকেট নেন তাসকিন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ক্রীড়া প্রতিবেদক: বৃষ্টির কারণে দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধ। তার আগে প্রথম ইনিংসে ১৯.২ ওভার ব্যাটিং করে বাংলাদেশ তুলেছে ৫ উইকেটে ২০৭ রান। বৃষ্টি হানা দেওয়ায় আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্যটা কমে নেমে আসে ১০৪ রানে। আর তা করতে হবে ৮ ওভারের মধ্যে। কাগুজে সম্ভাবনায় বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার ম্যাচটা তখন অনেকটাই যেন ফুটবলের ‘টাইব্রেকার’। শেষ পর্যন্ত কে জিতবে নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।
ছোট হয়ে আসা ম্যাচে আইরিশদের সূচনা ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড ৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৮১ রান তুলে থেমেছে। শেষ পর্যন্ত ডি/এল নিয়মে ২২ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
আজ রান তাড়ায় নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের পাওয়ার প্লের দুই ওভারে ৩২ রান পেয়ে যায় আইরিশরা। ওভারপ্রতি ১৩ রান রেটের ম্যাচটি দুই ওভার পর সেটি নেমে আসে ১২-তে। পরের দুই ওভারে অবশ্য ম্যাচটা ঘুরে যায়। হাসান মাহমুদ তৃতীয় ওভারে এসে মাত্র ৫ রান এসেছে।
সে ওভারেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে এডেয়ারের স্টাম্প উড়িয়েছেন হাসান। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদ আরও ৩ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৭ রান দিয়ে। ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় তাতে। ৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে রান তাড়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্টার্লিংরা। তাসকিন ইনিংসের শেষ ওভারে এসে আরও একটি উইকেট শিকার করেন।
আয়ারল্যান্ডের রান থামে ৫ উইকেটে ৮১ রানে। তাসকিন ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন, যা তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এর আগে বিস্ফোরক ব্যাটিং দেখা গেছে বাংলাদেশের ইনিংসেও। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মেঘলা কন্ডিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লে’তেই ঝড় তোলেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। দুজন দুই শ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটের ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশকে নিয়ে যায় ৮১ রানে, যা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথম ৬ ওভারে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
বড় রানের ভিতটা পেয়ে যায় ওই ৬ ওভারেই। সেটি কাজে লাগিয়ে ১৯.২ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ২০৭ রান করে, যা এই মাঠে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর ২১৫ রানের রেকর্ডও ছাড়িয়ে যেতে পারত। কিন্তু বৃষ্টি নামায় বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ৪ বল করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছে রনির ব্যাট থেকে। যা ছিল টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তাঁর সর্বোচ্চ। রনি ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। লিটনের ৪৭ রান এসেছে ২৩ বলে। তাঁর ২০৪ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল।