কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মাপাড়ে গাড়ি থেকে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আবদুল মমিন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পদ্মাপাড়ে গাড়ির ভেতর থেকে চালক সম্রাট খানের (২৯) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আবদুল মমিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-১২ (র্যাবের) সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্প সূত্র জানায়, সম্রাট হত্যার ঘটনায় আবদুল মমিনকে ধরতে র্যাব সদস্যরা কাজ শুরু করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে র্যাব। পরে রোববার রাতে র্যাব-৩-এর সহযোগিতায় ঢাকার বাংলামোটর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এই বাহিনীর সিরাজগঞ্জের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিহত গাড়িচালক মো. সম্রাট খান (২৯) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মধ্য অরনকোলা এলাকার আবু বক্কার সিদ্দীকের ছেলে। সম্রাট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিয়োজিত একটি বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভাড়ায়চালিত গাড়ির চালক ছিলেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের খবরে গত শনিবার সকালে পদ্মাপাড় থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে লাশ উদ্ধারের আগেই সন্দেভাজন হিসেবে শনাক্ত হন আবদুল মমিন ও তাঁর স্ত্রী সীমা খাতুন। গাড়িটির খোঁজ করতে গিয়ে তাঁদের শনাক্ত করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সীমা খাতুন হত্যার কথা স্বীকার করেন। পুলিশকে তিনি বলেন, হত্যার পর লাশ গুমের জন্য স্বামী-স্ত্রী মিলে গাড়িতে করে সম্রাটের লাশ নিয়ে বের হন। পরে সীমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হন আবদুল মমিন। তিনি পদ্মার পাড়ে লাশবাহী গাড়িটি রেখে পালিয়ে যান। সম্রাটের বাবা আবু বক্কার বাদী হয়ে আবদুল মমিন, সীমা খাতুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার সীমাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।