আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের ফেলে রাখা মোটরসাইকেলগুলো | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি পাবনা: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে চরতারাপুরের শুকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম।
অভিযুক্ত ফেরদৌস আলম ফিরোজ খান চরতারাপুর ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শুকচর গ্রামের বাসিন্দা।
আওয়ামী লীগ নেতা ফেরদৌস আলম ফিরোজ খান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, বাড়ি সদর উপজেলায় হলেও ফিরোজ সুজানগরের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা এবং চরতারাপুরের বালিয়াডাঙ্গী ও দিঘি গোহাইলবাড়িসহ কয়েকটি বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এতে বাধা দিলে মাঝেমধ্যে এলাকাবাসীদের বাড়িঘরে হামলা এবং নানা হুমকি-ধমকি দেন। সর্বশেষ তারাবির নামাজ পড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রায় অর্ধশত সহযোগী নিয়ে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে করে শুকচর গ্রামের শামসুল প্রামাণিকের বাড়িতে হামলা করেন।
তারা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করেন। ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ঘুমন্ত কয়েকজনকে টেনেহিঁচড়ে বের করে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করেন স্থানীয়রা। একপর্যায়ে সাতটি মোটসাইকেল রেখেই পালিয়ে যান ফেরদৌস আলম ফিরোজ ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে পুলিশ সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেন ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, ‘তারাবির নামাজে ছেলেদের সঙ্গে একটা ঝামেলা হয়েছে। পরে এটি নিয়ে তাদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি ঘটনা ঘটেছে। আমি সেই ঘটনা শুনে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে বালুমহল নিয়ে কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘তারাবির নামাজ পড়া নিয়ে দুপক্ষের ঝামেলা হয়েছিল। একপক্ষ মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করেছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’